কিডনির সমস্যায় খাদ্যতালিকা



কিডনি রোগীর সংখ্যা আমাদের দেশে দিন দিন বাড়ছে। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ঘনঘন ইউরিন ইনফেকশন, অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ, অনিয়ন্ত্রিত খাওয়া-দাওয়া, অতিরিক্ত ওজন ছাড়া আরও নানা কারণে কিডনি রোগ হতে পারে।

যে কারণেই কিডনির সমস্যা হোক না কেন দীর্ঘ মেয়াদি কিডনি রোগের চিকিৎসায় প্রধান উপায় হল সঠিক পথ্য নির্বাচন। অন্যান্য রোগের চেয়েও খুব হিসাব-নিকাশ করে কিডনি রোগীর চিকিৎসায় পথ্য নির্ধারণ করতে হয়। রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বৃদ্ধিকে ধীর গতিতে রাখার জন্য সঠিক পথ্য কার্যকরী।

কিডনি রোগের লক্ষণ


কিডনি রোগের প্রতিকার এর ক্ষেত্রে প্রথমেই রোগীর বা সম্ভাব্য রোগীর শরীরে কিডনি রজার লক্ষণ বা উপসর্গসমূহ বিদ্যমান কিনা বা কি পরিমান বিদ্যমান? সাধারণত কিডনি যে পরিমান বিকল হয়েছে উপসর্গ বা লক্ষণ গুলোও সে পরিমান লক্ষণীয় হয়ে ওঠে।
কিডনি রোগের লক্ষণ এবং উপসর্গগুলির মধ্যে নিম্নে বর্ণিত লক্ষণসমূহ অন্যতম:
  • বমি বমি ভাব
  • বমি
  • ক্ষুধামন্দা
  • ক্লান্তি এবং দুর্বলতা
  • ঘুম সমস্যা
  • কতবার প্রস্রাব হয় তাতে পরিবর্তন
  • মানসিক তীক্ষ্নতা হ্রাস বা কমে যাওয়া
  • পেশীতে আকস্মিক টান বা বাধা
  • পা এবং গোড়ালি ফোলা
  • নিরবিচ্ছিন্ন খিঁচুনি
  • বুকে ব্যথা, যদি তরল হার্টের চারপাশে জমা হয়
  • ক্ষীণ শ্বাস-প্রশ্বাস, ফুসফুসের মধ্যে যদি তরল তৈরি হয়
  • উচ্চ রক্তচাপ যা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন
কখন ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন?



যদি আপনার শরীরে কিডনি রোগের কোন লক্ষণ বা উপসর্গ আছে বলে মনে হয়, দ্রুত একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের সাথে একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট করুন।
আপনার শরীরের এমন কোনো বিশেষ অবস্থা যদি থাকে যা কিডনি রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে তাহলে হয়তো আপনার ডাক্তার রেগুলার চেকআপ এর সময় আপনার রক্তচাপ এবং মূত্র এবং রক্ত ​​পরীক্ষার মাধ্যমে কিডনি ফাংশন নিরীক্ষণ করতে পারেন।
  • কিডনি রোগের লক্ষণ এবং উপসর্গগুলি প্রায়ই রোগীদের লক্ষণ এর সাথে মেলেনা, যার মানে অন্য কোনো অসুস্থতার কারণেও এসব লক্ষণ বা উপসর্গসমূহ পরিলক্ষিত হতে পারে। কারণ কিডনির অভিযোজন ক্ষমতা বেশি বলে নিজের ক্ষতিপূরণ পুষিয়ে নিতে পারে। প্রকৃত লক্ষণ বা উপসর্গ তখনই পরিলক্ষিত হবে যখন কিডনির ক্ষতির পরিমান বেশি হয়ে যায়।
কিডনি রোগের যেকোনো লক্ষণ পরিলক্ষিত হবার সাথে সাথে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

ডাক্তার বলেছেন, কিডনিতে সামান্য সমস্যা আছে। ক্রিয়েটিনিন নাকি একটু বেশি। আর প্রস্রাবেও আমিষ যাচ্ছে। দীর্ঘদিনের ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের এমন একটা পর্যায় আসেই। ব্যস, অমনি নানান খাবার-দাবারে নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়ে গেল। ডাল ও মাংস নিষেধ, এমনকি খেতে মানা সব ধরনের ফলমূলও। পানিও মেপে খেতে হবে। কিন্তু আসলেই কি তাই?

  1.  কিডনি ডিজিজ বা দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগ ঠেকাতে প্রথমত চাই রক্তে শর্করা ও রক্তচাপের সুনিয়ন্ত্রণ। এটা না করতে পারলে কেবল খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এনে কিডনি ভালো রাখা যাবে না।
  2.  যেসব কিডনি রোগীর শরীরে পানি আসে বা ফুলে যায়, তাদের ক্ষেত্রে দৈনিক পানির পরিমাণ চিকিৎসক মেপে দিতে পারেন। নয়তো পানি নিয়ে ভাবনার কিছু নেই। তবে সেই সঙ্গে কমাতে হবে সোডিয়াম বা রান্নার লবণের পরিমাণও। এটি রক্তচাপ যেমন বাড়ায়, তেমনি পানি জমতেও সাহায্য করে।
  3. অসুস্থ কিডনি অনেক সময় রক্ত থেকে পটাশিয়াম নিষ্কাশন ঠিকমতো করতে পারে না। এতে রক্তে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেড়ে যায়। মাঝেমধ্যে রক্তে ইলেকট্রোলাইট পরীক্ষা করা হলে বিষয়টা ধরা পড়ে। যাদের এই প্রবণতা আছে তারা উচ্চ পটাশিয়ামযুক্ত ফলমূল এড়িয়ে চলাই ভালো। বেশি পটাশিয়াম আছে কলা, কমলা, ডাব, তরমুজ, টমেটো, কিশমিশ, অ্যাভোকেডো ইত্যাদি ফলে। তবে পটাশিয়ামের পরিমাণ কম এমন ফল যেমন আপেল, আঙুর, আনারস, স্ট্রবেরি ইত্যাদি খেতে বাধা নেই।
  4. কিডনি সমস্যায় অনেক সময় ফসফরাস বা ফসফেটের পরিমাণও যায় বেড়ে। ভুট্টার তৈরি খাবার, কোলা-জাতীয় পানীয়, কিছু বাদামে ফসফেটের পরিমাণ বেশি। তবে চিকিৎসক চাইলে ফসফেট বাইন্ডার ওষুধের মাধ্যমে ফসফরাস নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।
  5. কিডনি রোগীদের ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ‘ডি’র অভাব দেখা দেয়, রক্তস্বল্পতা হয়। তাই ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি ও আয়রনসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।



সঠিক পথ্য মেনে চললে রক্তে ক্রিয়েটিনের মাত্রাকে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। রোগী ভেদে কিডনির পথ্য নির্ধারণে ভিন্নতা থাকে। রক্তে ইলেকট্রোলাইটসের পরিমাণ, হিমোগ্লোবিনের মাত্রা, ইউরিয়া ও ইউরিক এসিডের পরিমাণ, রক্ত ও ইউরিনে এলবুমিনের পরিমাণ এবং ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা ভেদে পথ্যকে সাজাতে হয়। একজন ক্লিনিক্যাল ডায়েটেশিয়ানের পরামর্শ নেয়া একান্ত জরুরি। সাধারণভাবে যে বিষয়গুলো মনে রাখা প্রয়োজন সেগুলো হল-



টিপসঃ- কিডনি রোগীদের ৪ টা খাবার খাওয়া একদম নিষেধ। ১. কামরাঙ্গা ২. বিলম্ব (লেবুর মত টকযুক্ত ফল) ৩. এলোভেরা ৪. ব্যথার ঔষধ।






ক্যালরি






কিডনি রোগীদের সাধারণত ক্যালরির চাহিদা অন্যান্য রোগীর তুলনায় বাড়ানো হয়। যথাযথ শক্তি প্রদান করার মাধ্যমে রোগীর মাংসপেশির সবলতা বজায় রাখতে ক্যালরি সাহায্য করে। সাধারণত প্রতি কেজি ওজনের জন্য রোগী ভেদে ৩০ থেকে ৩৫ কিলোক্যালরি পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। এই ক্যালরি রোগীকে শক্তি প্রদান করা ছাড়াও সচল এবং কর্মক্ষম রাখে।


কার্বোহাইড্রেট






কিডনি রোগীর মোট ক্যালোরি চাহিদার বেশিরভাগই কার্বোহাইড্রেটের মাধ্যমে পূরণ হয়। কার্বোহাইড্রেট কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে বন্ধুবৎসল। খাবারে অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণ করতে হয় বলে কাবোর্হাইড্রেটকে বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে শর্করার মাত্রা বিবেচনা করে কার্বোহাইড্রেট হিসাব করা হয়। ভাত, ময়দা, রুটি, চিড়া, সুজি, চালের গুঁড়া, চালের রুটি, সাগু, সেমাই ইত্যাদি কিডনি রোগীর জন্য উত্তম কার্বোহাইড্রেট।


প্রোটিন





প্রোটিন নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত জরুরি। দীর্ঘ মেয়াদি কিডনি রোগে প্রতি কেজি ওজনের জন্য পয়েন্ট পাঁচ থেকে পয়েন্ট আট গ্রাম প্রোটিন বরাদ্দ করা যেতে পারে। যদিও এ হিসাব নির্ভর করবে রোগীর অবস্থা ও বিভিন্ন পরীক্ষার রিপোর্টের ওপর। সাধারণত ডাল, বাদাম, কাঁঠালের বিচি, সিমের বিচি ইত্যাদি রোগীকে বর্জন করতে হয়। প্রতিদিনের দৈনিক প্রোটিনের চাহিদা ডিমের সাদা অংশ, মাছ, মুরগির মাংস ও দুধ বা দই ইত্যাদি থেকে হিসাব করে বরাদ্দ করা হয়। গরু, খাসির মাংস, কলিজা, মগজ ইত্যাদি অবশ্যই এড়িয়ে যেতে বলা হয়।

প্রাণিজ আমিষ, যেমন- মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ইত্যাদি সীমিত পরিমাণে খাবেন




চর্বি জাতীয় খাবার


বেশিরভাগ কিডনি রোগীই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন। কিডনি রোগীদের যাতে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে না যায়- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে তাই চর্বির হিসাব যথাযথভাবে করতে হয়।

সাধারণত স্যাচুরেটেট বা সম্পৃক্ত চর্বি জাতীয় খাবার, ভাজাপোড়া খাবার, ফাস্ট ফুড, ডিমের কুসুম এড়িয়ে যেতে হয়। রান্নার তেল ব্যবহারের ক্ষেত্রে উদ্ভিজ্জ তেল, সূর্যমুখী, কর্ন অয়েল, ক্যানোলা অয়েল ইত্যাদি ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হয়। অনেক কিডনি রোগী ভয়ে তেল খাওয়া বন্ধ করতে দেখা যায়। যা একেবারেই স্বাস্থ্যসম্মত নয়। প্রতিদিনের রান্নায় চার চা চামচ (২০ এমএল) তেল ব্যবহার করলে ভালো।


সবজি


রক্তে পটাশিয়াম, ইউরিক এসিডের মাত্রা, ফসফরাস ইত্যাদির ওপর ভিত্তি করে সবজি হিসাব করা হয়। অতিরিক্ত পিউরিন ও পটাশিয়াম সমৃদ্ধ শাকসবজি, পিচ্ছিল ও গাঢ় লাল রঙের শাকসবজি এড়িয়ে যেতে হবে। কিডনি রোগীদের জন্য চালকুমড়া, চিচিঙ্গা, ঝিংগা ইত্যাদি পানীয় সবজি উপকারী। উপকারী হলেও এগুলোর পরিমাণ মেনে চলাও গুরুত্বপূর্ণ। কাঁচা সবজির সালাদ, সবজি স্যুপ ইত্যাদি কিডনি রোগীদের এড়িয়ে চলতে হয়।


যেসব সবজি খাবেন না

ফুলকপি, বাঁধাকপি, পালংশাক, কচু, মুলা, পুঁইশাক, ঢেঁড়স, গাজর, কাঁঠালের বিচি, শিমের বিচি, মুলাশাক ইত্যাদি।

যেসব সবজি খাবেন

চিচিঙ্গা, লাউ, করলা, বিচি ছাড়া শশা, সজনা, ডাঁটাশাক, লালশাক, কচুশাক, ঝিংগা, পেঁপে, হেলেঞ্চা শাক ইত্যাদি।



ফল



কিডনি রোগীদের ফল খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হয়। অক্সালিক এসিড, ইউরিক এসিড, পটাশিয়াম, রক্তচাপ ছাড়াও আরও অনেক কিছু বিবেচনা করে ফল নির্ধারণ করা হয়। তিন চারটি ফল রোগী ভেদে সীমিত আকারে দেয়া হয়। যেমন : আপেল, পাকা পেঁপে, পেয়ারা ইত্যাদি। অনেকেই কিডনি রোগ হলে ফল খাওয়া বন্ধ করে দেন। যা স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এ ক্ষেত্রে রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বিবেচনা করে ফল নির্ধারণ করতে হবে।

খাবেন না
ডাব, কলা, আঙুর   কেননা, এতে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি। কিডনি রোগীদের রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বাড়তে থাকে।


                          খাবেন কম পটাশিয়ামযুক্ত ফল

 যেমন-  আপেল, পেয়ারা, পাকা পেঁপে, নাসপাতি ইত্যাদি।



লবণ


লবণ বা সোডিয়াম নিয়ন্ত্রিত পথ্য কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে জরুরি। রক্তচাপ, রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা, ইডিমা বা শরীরের পানি পরিমাপের ওপর ভিত্তি করে লবণের পরিমাপ করা হয়। সাধারণত দুই থেকে পাঁচ গ্রাম লবণ নির্ধারণ করা হয় যা নির্ভর করবে আপনার শারীরিক অবস্থা ও ডায়েটেশিয়ানের ওপর। আলাদা লবণ গ্রহণ পরিহার করতে হবে এবং অতিরিক্ত সোডিয়ামযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। যেমন : চিপস, পাপড়, চানাচুর, আচার ইত্যাদি। যা শুধু কিডনি রোগীর চিকিৎসায় নয়, কিডনি রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে।



তরল বা পানীয়



কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে তরল নিয়ন্ত্রণ জরুরি। দৈনিক চা, দুধ, পানি সব মিলিয়ে তরলের হিসাব করা হয়। কোন রোগীকে কতটুকু তরল বরাদ্দ করা হবে তা নির্ভর করবে রোগীর অবস্থার ওপর। শরীরের ইডিমা, হিমোগ্লোবিনের মাত্রা, সোডিয়ামের মাত্রা, ইজিএসআর- এসবের মাত্রার ওপর ভিত্তি করে এক থেকে দেড় লিটার, কখনও কখনও দুই লিটার পর্যন্ত তরল বরাদ্দ হয়। অনেকেই্ অসুস্থ কিডনিকে সুস্থ করার জন্য অতিরিক্ত পানি খায়, এটি ভুল।



কিডনি সুস্থ রাখতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে যে ১০ খাবার

১. রসুন
২. জাম্বুরা
৩. বীট ও গাজর
৪. সবুজ চা
৫. সবুজ শাক-সবজি
৬. আপেল
৭. অলিভ অয়েল বা অলিভের তেল
৮. লেবু
৯. বাঁধাকপি
১০. হলুদ



দীর্ঘ মেয়াদি ক্রনিক কিডনি রোগী এ ধরনের খাবারের পরামর্শ মেনে চললে কিডনিকে মারাত্মক জটিলতার হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব হয়। একঘেয়েমি হলেও ধৈর্যের সঙ্গে সঠিক পথ্য ব্যবস্থাপনা মেনে চলা প্রত্যেক কিডনি রোগীর জন্য জরুরি।

রোগীর খাদ্যতালিকায় প্রোটিন রাখতে হবে রোগের মাত্রার ওপর ভিত্তি করে। যেমন- রোগীর রক্তের ক্রিয়েটিনিন, শরীরের ওজন, ডায়ালাইসিস করেন কিনা, করলেও সপ্তাহে কয়টা করেন তার ওপর নির্ভর করে প্রোটিনের মাত্রা নির্ধারণ করতে হবে।

যেমন- কিডনি রোগ শনাক্ত হওয়ার পর প্রতিকেজি দৈহিক ওজনের জন্য প্রোটিনের প্রয়োজন ০.৫-০.৮ গ্রাম। গুরুতর রোগীর জন্য ০.৫ গ্রাম।

উপরোক্ত নির্দেশনা অনুযায়ী খাদ্যতালিকা তৈরি করে খাবার খেলে কিডনি রোগ অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

কিডনি রোগের প্রতিকার – প্রতিরোধ ও ঝুঁকি কমাতে নিচের পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করুন

  • ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক নিয়মিত পরিমান মতো পানি পান করুন
  • কখনো প্রস্রাব চেপে রাখবেন না। যখনই প্রস্রাবের বেগ হয় প্রস্রাব করে নেবেন।
  • প্রেস্ক্রিপশন ছাড়া কোনো পেইন-কিলার (অ্যাসপিরিন, ইবুপ্রোফেন, এসিট্যামিনোফেন ইত্যাদি) ব্যবহারের ক্ষেত্রে ঔষধের সাথে প্রদত্ত নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন। অতিরিক্ত পেইন-কিলার ব্যবহারের ফলে কিডনি ড্যামেজ হতে পারে। তাই ঝুঁকি এড়াতে এই ঔষধ আপনার জন্য নিরাপদ কিনা আপনার ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করুন।
  • আপনার শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন। ওজন কমাতে হলে, স্বাস্থ্যকর ওজন কমানোর কৌশল সম্পর্কে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দৈনিক শারীরিক কার্যকলাপ এবং ক্যালোরি শরীরের ওজন এর সাথে বিশেষভাবে জড়িত।
  • ধূমপান করবেন না। সিগারেট ধূমপান আপনার কিডনি ড্যামেজ করে দিতে পারে। যদি আপনি ধূমপায়ী হন, ধূমপান ত্যাগ করার কৌশল সম্পর্কে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন, সাপোর্ট গ্রুপ, কাউন্সেলিং এবং প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক ঔষধ ব্যবহার করতে পারেন
  • নিয়মিত আপনার শরীরের রুটিন-চেকআপ করান। ডাক্তারের সাহায্যে আপনার শারীরিক স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রনে রাখুন।

সাইফুল আবেদীন



Commenti

  1. কিডনি ফেইলিওর এর লক্ষণ গুলো সম্পর্কে আমার জানার অনেক আগ্রহ রয়েছে।
    আমি আপনাকে অনুরধ করবো এমন একটি লেখা আমাদের সাথে শেয়ার করবেন।

    আপনার এই লেখাটি আমি পড়েছি অনেক নতুন কিছু জেনেছি। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এমন তথ্যপুর্ন একটি লেখা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

    RispondiElimina

Posta un commento